গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গ্যাস-বিদ্যুতে ভোগান্তি দূর করার দাবীতে এক সভা বন্দরবাজারস্থ কুদরত উল্লাহ মসজিদের মার্কেটের তয় তলায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ৪ মার্চ মঙ্গলবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়।
গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন এর পরিচালায় সভায় বক্তাব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মামুন রশীদ এডভোকেট, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লায়েক মিয়া, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য ওসমান আলী, যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য কাওছার বখত রাসেল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, শীত শেষে ফাল্গুনের শুরুতে শুরু হয়েছে গরম। লোডশেডিংও উঁকি দিচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, গরমে হতে পারে ৩ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং। সর্বোচ্চ চাহিদ ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের। অর্থ সঙ্কটে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা জ্বালানী আমদানীর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানীতে বকেয়া অন্ততঃ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে গ্যাসের সঙ্কটও দিন দিন বাড়ছে। বহু বছর ধরে দেশে গ্যাসের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। অনেক এলাকায় বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চাপ কম। সেক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে গ্যাসের দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। দেশে এক সময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো, ২০১৮ সালের পর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে বিগত আওয়ামীলীগ সরকার এলএনজি আমদানী করে। অথচ সুযোগ থাকা সত্বেও তারা নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরও জ্বালানি খাতে দৃশ্যমান উন্নতি নেই। জ্বালানি বিভাগে মহাদুর্নীতিবাজদের তালিকা ও সনাক্ত হয়নি। বিগত সরকারের জ্বালানী নীতি বাতিল করলেও চুক্তিগুলো বহাল রেখেছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে অতীত সরকারের ভুল নীতি থেকে বেরিয়ে এসে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা সহ সারাদেশের বাস-বাড়িতে গ্রাহকরা নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও কেন গ্যাস পাচ্ছেন না, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গ্যাস অপচয় রোধে জোরালো ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার আসে, সরকার যায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার কাজটি এখনো শেষ করা হয়নি। একই পরিমাণ গ্যাস ও বিদ্যুৎ খরচ করে কাউকে বেশি, কাউকে কম বিল প্রদান করতে হয়। মোটকথা পবিত্র রমজান ও গরমের শুরুতে গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কায় গ্রাহকগণ। এই আশঙ্ক দূর করার জোর দাবী জানান বক্তাগণ।