বৃন্দাবন সরকারি কলেজের (অবঃ) উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক অজয় কুমার দাস মহালদার বলেছেন, ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। সকল ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থ একই। সকল ধর্মের মধ্যে যদি ঐক্য থাকে তাহলে বিশ্বে অশান্তি থাকবে না। যত ধর্ম তত পথ। ঈশ্বরকে নিয়ে যে ভাবেই ডাকিনা কেন, তিনি হচ্ছেন এক। ঈশ্বরকে অনুদাবন করলে শান্তি পাওয়া যায়। কারো দারিদ্র্যতা নিয়ে অপমান করা যাবে না। রামকৃষ্ণ সকল ধর্মের মানুষকে শান্তির বাণী দিয়ে হিংসা, হানাহানি দূরে রেখে এক সাথে চলার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করে অন্য ধর্মকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা করা যাবে না। শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী উপলব্ধি করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রামকৃষ্ণের যে পথ, স্বামী বিবেকানন্দের যে দর্শন দেখিয়ে গেছেন; তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই পৃথিবী পাবে শান্তির সুবাতাস।
তিনি গতকাল ৪ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর মীরাবাজারস্থ আশ্রম মিলনায়তন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৯০তম আবির্ভাব তিথি ও বার্ষিক উৎসবের সমাপনী দিনে ‘বিশ্বশান্তি ও শ্রী রামকৃষ্ণ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক শ্রীমৎস্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ।
অ্যাডভোকেট সনতু দাস এর সভাপতিত্বে ও অরুপ বিজয় চৌধুরীর উপস্থানায় আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক (অব.) বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাস, সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ফাদার ব্রাইন গমেজ, সিলেট বৌদ্ধ বিহারের মহানাম ভিক্ষু।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ডাঃ পরেশ দেননাথ।
রাত সাড়ে ৮টায় নীলাঞ্জন দাস টুকুর পরিচালনায় বিবেকানন্দ বিদ্যার্থী ভবনের ছাত্রবৃন্দের পরিবেশনায় নাটক মঞ্চস্থথের মাধ্যমে ৪ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের কবিরত্ন মণিনাথ কৃষ্ণাল পরিবেশনায় রামায়ণ গান, বিকেল ৪টায় সিলেটের প্রণতি ভট্টাচার্য্য এর পরিবেশনায় গীতি আলেখ্য, সাড়ে ৫টায় সিলেটের নাট্যম সঙ্গীত বিদ্যালয়ের নিপা ভট্টাচার্য্য এর পরিচালনায় সঙ্গীতাঞ্জলী অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি