ছাতকে ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক খান সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
শনিবার (২৯ মার্চ) ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার সময় ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নে নয়া মৈশাপুর গ্রামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ফারুক আহমদ খাঁন (৩৫) ন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
স্থানীয় সুত্র থেকে খবরে জানা যায়, ফারুক আহমদ খাঁন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এবং নয়া মৈশাপুর গ্রামে মৃত লাল খানের পুত্র। গতকাল সন্ধ্যায় সে ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মোঃ নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে তিনির চাচা হাবিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নয়া রাজারগাঁও গ্রামে এক ইফতার মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন। ফারুক আহমদ খাঁন ইফতার পরবর্তী তার নিজের বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় উৎপেতে থাকা ১০/১২ জনের এক সন্ত্রাসী দল তাকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য তার উপর জঘন্য হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন তাকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষ ফারুক আহমদ খাঁনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রামের যবলীগ নেতা সাদিক খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী দলে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ফারুক আহমদ খাঁনকে চাপাতি রামদা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। মাথায় আঘাত সহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর জখমের চিহ্ন রয়েছে, দুই হাতের কব্জি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান আকন্দের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ খাঁনের উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর শোনে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তাকে দেখতে যান বিএনপি কেন্দ্রীয় সদস্য জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান সহ তার সহকর্মী নেতৃবৃন্দ। সবাই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছেন। এই বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় দু পক্ষের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।