১) দেখতে মনে হবে একদম নতুন। এটাও বলা হতে পারে মাত্র কয়েকমাস আগে বিদেশ থেকে এসেছে, টাকার সমস্যা থাকায় বিক্রি করা হচ্ছে ফোনটি। তবে এসব কথায় কান দেয়া যাবে না। নতুন মনে হলেও অনেক পুরোনো ফোনের টাচস্ক্রিনই কাজ করে না। হয়তো পুরনো টাচস্ক্রিন ভেঙে যাওয়ার পরে নতুন স্ক্রিন লাগিয়ে আগের ব্যবহারকারী ফোনটি বিক্রি করছেন। তাই কেনার আগে স্ক্রিনে ভালো করে টাইপ করে দেখে নিতে হবে সমস্যা রয়েছে কি না।
২) কেনার আগে ফোনটির সব জায়গাতে ভালো করে চোখ বুলাতে হবে। যদি ফোনের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন থাকে তাহলে ভালো করে অন্যান্য বিষয়গুলোকে দেখতে হবে। আঘাত থাকা মানে ফোনের ভেতরের যন্ত্রাংশও ভাঙাচোরা হতে পারে।
৩) আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফোনের আইএমইআই নম্বর পরীক্ষা করে নেয়া। এই যুগে ফোন নিয়ে অনেক ধরনের বাণিজ্য ও অপরাধ হয়। শুধু মাত্র ফোনটি কেনার কারণে এর দায় আপনাকেও নিতে হতে পারে, পড়তে পারেন বিপদে। তাই ফোনটি চুরি বা হারিয়ে যাওয়া কি না তা জানতে বিক্রেতার কাছ থেকে ফোনের বক্স চেয়ে নিন।
৪) দর কষাকষির ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় কম দাম পেয়ে তাড়াহুড়ো করে ফোন কেনার প্রবণতা থাকে, আর এতে করেই ঠকতে হয়। দাম কম মানেই ভালো কিছু এমনটা ভাবা বোকামি, এটা বিক্রেতার কৌশল হতে পারে। তাই দাম কম দেখেই হুট করে ফোন কেনা যাবে না। এর যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখতে হবে।
৫) ফোন কেনার ক্ষেত্রে অন্ত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখার আরেকটি বিষয় হচ্ছে ব্যাটারি লাইফ। এক চার্জে কতক্ষণ স্থায়ী হয় তার ওপরে ফোন চালানোর মাত্রা নির্ভর করবে। এই দিকটি নজর রাখুন।
৬) বর্তমানে অনেক ব্রান্ডের নকল ফোন পাওয়া যায়। দেখতে হুবুহু একই রকম। প্রথম দর্শনে বোঝার উপায় থাকবে না এটি আসল নাকি নকল। তাই আপনাকে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে। এ জন্য সেটিংসে গিয়ে ফোনের সব কনফিগারেশন চেক করে নিন। এই ফোনের কনফিগারেশনগুলোর সঙ্গে ইন্টারনেটে দেয়া আসল ফোনের কনফিগারেশন মিল আছে কি না দেখে নিন। এতেই বুঝতে পারবেন আসল নাকি নকল।
৭) আপনি যে কাজে ফোনটি কিনছেন সেই অপারেটিং সিস্টেম এতে রয়েছে কি না তা দেখে নিতে হবে। পরবর্তীকালে এটির আপডেট কতটুকু পর্যন্ত হতে পারে সেই বিষয়েও জেনে তারপর কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৮) পুরোনো ফোন কেনার আগে ফোনে থাকা বাটন, ক্যামেরা, ক্যাবল সংযুক্তের পোর্ট ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নিতে হবে। অনেক সময় ফোনের সব ঠিকঠাক কাজ করলেও কোনো একটি ছোট সমস্যাই আপনার কাজকে ব্যহত করতে পারে এবং ফোন কেনার আসল উদ্দেশ্যকেই বিনষ্ট করতে পারে। তাই ছোট খাটো বিষয়গুলোর দিকেই বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
৯) আপনার কেনা ফোনটি কোনো ওয়ারেন্টির আওতায় আছে কি না জেনে নিন। যদি থেকে থাকে তাহলে সেই সেবা যেন আপনি নিতে পারেন সেই চুক্তিতে যান বিক্রেতার কাছে। দাম একটু বেশি হলেও ওয়ারেন্টির আওতায় কেনা ফোন আপনার জন্য বেশি স্বস্তিদায়ক হতে পারে। তাই এমন ফোন কেনার চেষ্টা করুন।
১০) ফোন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে কিংবা মেকানিকের কাছে থেকেও পুরোনো ফোনটি দেখাতে পারেন কেনার আগে। এতে করে যাবতীয় সমস্যা সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পাবেন। সেই অনুযায়ী দামও নির্ধারণ করতে পারবেন, ঠকতে হবে না আপনাকে।