সমাজিক ব্লগার ও লেখক দম্পতি নাছির উদ্দিন ও মীর লামিয়ার উপর হামলা এবং একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অভিযোগ সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লেখক হিসেবে নাছির উদ্দিন ও মীর লামিয়া বাংলাদেশে বেশ সুপরিচিত দম্পতি এবং পেশাগতভাবে তারা দুজন শিক্ষকতা পেশায় জড়িত আছেন।
বাংলাদেশের অসংখ্য জনপ্রিয় বইয়ের লেখক হিসেবে তারা লেখক সমাজে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং প্রগতিশীল লেখক সমাজের কাছে বিশেষ করে ধর্মীয় গোড়ামি এবং সমাজ সংস্কার বিষয়ক লেখালেখির জন্য তারা বেশ সুপরিচিত। তবে একারনে সমাজের কুসংস্কার ও কট্টরপন্থীদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন তারা। যার কারনে তাদের ওপর ২০২৪ সালে একাধিকবার হামলা চালানো হয়।
এদিকে তাদের ওপর বর্বরোচিত এসব হামলা ও মামলা দায়ের করা নিয়ে প্রগতিশীল লেখক সমাজে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঢাকা লেখক সমাজ সহ বিভিন্ন নামকরা লেখকরা এ বিষয়ে কথা বলছেন এবং তাদের ওপর সংগঠিত এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে লেখক আলামিন রুদ্র বলেন, নাছির ও লামিয়ার সাথে পরিচয় আমার দীর্ঘদিনের। তারা বেশ যুক্তিমনা ও বিজ্ঞানবিত্তিক তথ্যমুলক লেখালেখি করে। যার কারনে সমাজের কিছু বিবেকহীন মানুষ তা গ্রহন করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নিয়ে চক্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
লেখক নাছির উদ্দিন ও মীর লামিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়,গত ২০ শে জুন ২০২৪ তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।এবং একই সাথে গত জুলাই মাসের ৩ ও ৯ তারিখে পুনরায় তাদের ওপর হামলা করা হয়।
এ লেখক দম্পতি জানান তাদের যৌথ উদ্দোগে লেখা শিশুদের ওপর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সর্বশেষ বই “বোঝাপড়া” লেখার পর সমস্যা প্রকট হতে থাকে।এবং এর পর একাধিক বার ফোনে মৃত্যুর হুমকি দেয় এবং জুলাই মাসের ২৭ তারিখে বাসায় কফিনের কাপড় পাঠিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রাইটার্স ইউনিটির মূখপাক্র জাহান কৌশিক জানায়“ব্লগার ও লেখক দম্পতি নাছির উদ্দিন ও মীর লামিয়ার পাশে আমরা আছি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি চাই।