পাঠাগার প্রতিষ্ঠা এবং এর চর্চার ইতিহাস বহু পুরোনো এবং ঐতিহাসিক। প্রাচীন মোগল আমলে প্রাসাদকেন্দ্রিক ছিল গ্রন্থাগার। ব্রিটিশ শাসনামলে অভিজাত শ্রেণির ছিল পারিবারিক গ্রন্থাগার। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্থানে স্থানে পাঠাগার স্থাপনে উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়। পঞ্চাশ-ষাট এমনকি সত্তর দশকেও আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি স্কুল-কলেজে ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য পাঠাগার ছিল। বর্তমানে অনেক যায়গায় পাঠাগার থাকলেও পাঠকের সংখ্যা খুব ক্ষীণ। ইন্টারনেটের যুগে ছাত্র-ছাত্রীরা নেট থেকে পিডিএফ পড়তে আগ্রহী কিন্তু পাঠাগারে এসে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। যদিও পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম।

মানবজাতির সংস্কৃতি চর্চা প্রাচীন যুগ থেকে শুরু হয়েছে। তখনকার যুগে বা প্রাচীনকালে তাহাদের অনুভূতিগুলো পাথরে অথবা গাছের চালে খুদাই করে প্রকাশ করা হতো। যুগ-পরিক্রমায় এই অবিব্যক্তিগুলো সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় লাইব্রেরির চিন্তা মানুষ অনুভব করে। পাঠাগারের সংস্কৃতি স্থলপথ নৌপথ এবং তার মধ্যে অন্যতম হলো ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। মধ্যযুগ-ঔপনিবেশ যুগ ও আধুনিক যুগেও এই ধারাবাহিকতায় চলমান।

ওমর খৈয়াম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, প্রমথ চৌধুরী, সৈয়দ মুজতবা আলীসহ বহু মনীষী বই পড়া সম্বন্ধে গুরুত্বারোপ করেছেন। অথচ আমাদের দেশে বই ও পাঠাগার নিয়ে ফলপ্রসূ কার্যক্রম নেই বললেই চলে। আজকাল দেখা যায়, অধিকাংশ তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী তারা পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত বাড়তি কোনো বই পড়তে চান না। যে কারণে তাদের জ্ঞানও থাকে সীমাবদ্ধ। আমাদের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে হলে প্রচুর বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রগতিশীল গ্রন্থ হলো আলকোরান। একজন মুসলমানকে সর্বপ্রথম আলকোরান ভালো করে পড়তে হবে। আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যক্তিরই প্রথমে নিজনিজ ধর্মগ্রন্থ পড়া উচিৎ। বইয়ে ভুল থাকতে পারে বা মিথ্যা কাহিনী থাকতে পারে কিন্তু কোনো ধর্মগ্রন্থে কখনো মিথ্যা কিছুই লেখা থাকে না। আদর্শিক ও ধর্মীয় বই পাঠের মধ্য দিয়ে আদর্শ চরিত্র ও উন্নত নৈতিকতা অর্জন করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টিকে উপলব্ধি করেই যুগে যুগে কিছু সৃষ্টিশীল মানুষ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বই আদান-প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন পাঠাগার।

৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম শাহদরম এর বংশধর সৈয়দ ইকবাল হোসেন দীনার পীর ও তাঁর ভাই সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন সুমন এবং তাহাদের একমাত্র ভাগনা দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ভারতের আজমিরের সৈয়দ খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) মাজার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেন ১৯৯৮ সালে তখন মনির উদ্দিন চৌধুরীকে সফরসঙ্গী প্রস্তাব দিলে একত্মতা পোষণ করেন। এর কয়েকদিনের মধ্যেই সবাই একসাথে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এই সফর ছিল কলকাতা, দিল্লি, আগ্রা, জয়পুর ও আজমীর। সেই সফরে সাংবাদিক ও সংগঠক মনির উদ্দিন চৌধুরী ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বই বাসায় বাসায় বিতরণ ও সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া দেখে অভিভূত হন। মূলত এই প্রক্রিয়াটা ছিলো শিশু, বৃদ্ধা, ও সাধারণ লোককে বই পড়ার সুযোগ করে দেয়া। তিনি চিন্তা করলেন বাংলাদেশে যদি এরকম একটা পাঠাগার তৈরি করে ভ্যান দিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি বই বিতরণ করা যায় তাহলে কেমন হবে? বাংলাদেশে এসে তিনি এম আতাউর রহমান পীর ও দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীসহ তাঁর বেশ কিছু প্রিয় মানুষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে সবাই তাঁর সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। ঠিক তখন থেকেই শুরু হয় সিলেট মোবাইল পাঠাগারের যাত্রা।

বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক নগরী, শাহজালালের পূণ্যভুমি, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। মানুষের দোরগোড়ায় জ্ঞানের বাহক বই পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সিলেট মোবাইল পাঠাগার। যাত্রা শুরু হয়েছিলো কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের পুরাতন বিল্ডিং থেকে। প্রতিষ্ঠাতা অনেক হলেও মনির উদ্দিন চৌধুরীকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা বলা হয়। তাছাড়া এম আতাউর রহমান পীর ও দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী এই দুজনের নাম উল্লেখযোগ্য। এম আতাউর রহমান পীর মোবাইল পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং মনির উদ্দীন চৌধুরীর হঠাৎ মৃত্যুর পর প্রায় ২০ বছর পাঠাগারের হাল ধরে একে এককভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

২০০০ সালে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর লামাবাজারস্থ লে. কর্নেল অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর’র বাসায় অনুষ্ঠিত হয় সিলেট মোবাইল পাঠাগার প্রতিষ্ঠার প্রথম বৈঠক। অনুষ্ঠিত ১ম বৈঠকে অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর, মনির উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ও আশরাফ হাসানের মতামতের ভিত্তিতে সিলেট মোবাইল পাঠাগার নামে একটি ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং উক্ত পাঠাগারের জন্য এম আতাউর রহমান পীরকে চেয়ারম্যান, মনির উদ্দিন চৌধুরীকে সচিব এবং অধ্যাপক আকবর হোসেনকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর জন্মদিনকে বেছে নেওয়া হয়েছিলো যাত্রার ১ম দিনকে। শুরু হয় সিলেট মোবাইল পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।

পাঠাগারের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল এম আতাউর রহমান পীরের সভাপতিত্বে সিলেট মোবাইল পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর ২য় সভা রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর, ২০০০) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর লামাবাজারস্থ চেয়ারম্যানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনির উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, আশরাফ হাসান ও দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। পাঠাগারের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল এম আতাউর রহমান পীরের সভাপতিত্বে সিলেট মোবাইল পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর ৩য় সভা বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০০০) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর দরগাহ মহল্লাস্থ ৫৩ পায়রা মোবাইল পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনির উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ জয়নুল শামছ, হাবিবুর রহমান, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ও আশরাফ হাসান। অনুষ্ঠিত সভায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাবিবুর রহমান, সহকারী সচিব পদে সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন এবং সদস্য পদে জয়নুল শামছ ও দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি পাঠাগারের প্রধান লাইব্রেরিয়ান হিসেবে মনির উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনাসভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক (সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাত্রলীগের বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন ২৪ ও নবম জাতীয় সংসদ সদস্যদের মহিলা আসন ৩৫ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন)। তারপর শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০০) ঢাকা আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড এর এম ডি কয়েস সামীকে প্রধান অতিথি করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পরবর্তীতে সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠাগারকে একটি রিক্সাভ্যান প্রদান করেন এবং এর সাহায্যে বাড়ি বাড়ি বই প্রদান শুরু হয়।

২০০১ সালের ৭ মে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর দরগাহ মহল্লাস্থ ৫৩ পায়রায় মোবাইল পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর, মনির উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ জয়নুল শামছ ও আশরাফ হাসানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় কার্যকরী পরিষদের ৪র্থ সভা। অনুষ্ঠিত সভায় ৫ম প্রস্তাবে অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী ও অধ্যাপক মন্জুর হোসেন কর্তৃক প্রণীত সিলেট মোবাইল পাঠাগারের গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়। ২০০০ সালের ৯ মে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর দরগাহ মহল্লাস্থ ৫৩ পায়রায় মোবাইল পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর, মনির উদ্দিন চৌধুরী, আফসর উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ফজলুল হক, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ জয়নুল শামছ, অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, আশরাফ হাসান, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, অধ্যাপক মন্জুর হোসেন, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, আব্দুস সাদেক লিপন, খলিলুর রহমান ফয়সল, আব্দুল হালিম চৌধুরী, এম এ মালিক হুমায়ুন, মুফতি রায়হান উদ্দিন, জাবেদ উদ্দিন শিকদার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় কার্যকরী পরিষদের ৫ম সভা। এ সভায় পাঠাগারের ত্রৈমাসিক মুখপত্র কৈতর প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শনিবার ( ২৪ নভেম্বর ২০০১) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরীর দরগাহ মহল্লাস্থ ৫৩ পায়রায় মোবাইল পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১ম প্রস্তাবে পাঠাগারের সচিব মনির উদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকালে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। ২য় প্রস্তাবে মনির উদ্দিন চৌধুরীর শূন্য পদে পাঠাগারের উদ্যোক্তা ও নির্বাহী কমিটির সদস্য দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরীকে সচিব করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং মাহমুদ রাজা চৌধুরীর স্থানে আশরাফ হাসানকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ (১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) মোবাইল পাঠাগারের ২ যুগ পূর্ণ হলো।

২০০০ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পাঠাগারের প্রথম বৈঠকে গঠিত কমিটি ও ২০ সেপ্টেম্বর পাঠাগারের কার্যকরী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত উদ্যোক্তা সদস্যদের নিয়ে ২০০১-২০০৩ সেশনের সিলেট মোবাইল পাঠাগারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ হলেন: চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সচিব মনির উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী সচিব সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী, সদস্য -১. সৈয়দ জয়নুল শামছ ২. দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের রেজুলেশন খাতা।)

একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংবিধান। মোবাইল পাঠাগারের সংবিধানে গুরুত্বসহকারে একটি সাধারণ পরিষদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে। সাধারণ পরিষদের সদস্য তালিকার মধ্যে রয়েছেন- ১. অধ্যাপক এম আতাউর রহমান পীর ২. মনির উদ্দিন চৌধুরী (মরহুম) ৩. আফসর উদ্দিন ৪. হাবিবুর রহমান ৫. অধ্যাপক ফজলুল হক ৬. এড. হাবিবুর রহমান হাবিব ৭. সৈয়দ জয়নুল শামছ ৮. অধ্যাপক আকবর হোসেন চৌধুরী ৯. অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ ১০. আশরাফ হাসান ১১. সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন ১২. অধ্যাপক মনজুর হোসেন ১৩. দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ১৪. আব্দুস সাদেক লিপন ১৫. আবিদ ফায়সাল ১৬. আব্দুল হালিম চৌধুরী ১৭. এম এ মালিক হুমায়ুন ১৮. মুফতি রায়হান উদ্দিন আহমদ ১৯. চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের মূল সংবিধান থেকে নেয়া হয়েছে।)

মোবাইল পাঠাগার পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একটি পরিচালনা পর্ষদ। পরিচালক সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- ১. মুহম্মদ আব্দুল হান্নান ২. এম আতাউর রহমান পীর ৩. মহীউদ্দীন চৌধুরী ৪. আলহাজ্ব আবদুল রউফ ৫. হারুন আকবর ৬. মাসুক আহমদ খান ৭. আবদুল করিম গনি ৮. সৈয়দ জয়নুল শামছ ৯. আফজাল রশিদ চৌধুরী ১০. দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ১১. আবিদ ফায়সাল ১২. মঈন উদ্দীন চৌধুরী পাপ্পু ১৩. চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল। (তথ্যসূত্র: ছায়ালাপ সমগ্র-৩)
২০২২-২৪ সেশনের কার্যকরী কমিটির সাথে একটি উপদেষ্টা পরিষদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকার উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন- ১. শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ২. জামিল আহমদ চৌধুরী ৩. এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ৪. এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা ৫. এডভোকেট ফয়সল আহমদ চৌধুরী ৬. আফজাল রশিদ চৌধুরী ৭. ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী ৮. দীনুল ইসলাম চৌধুরী ৯. ডা. মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার ১০. সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন ১১. সৈয়দ জয়নুস শামছ ১২. আব্দুল করিম গনি ১৩. মঈন উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ১৪. আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ২০২২-২০২৪ কমিটির নিউজ)।

মোবাইল পাঠাগারের সম্মানিত পৃষ্ঠপোষক সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- ১. সিরাজ উদ্দিন আহমদ ২. অধ্যাপক কাজী কামাল আহমদ ৩. সৈয়দ বদরুল আলম ৪. হাজী মোঃ মৌলুল হোসেন ৫. মি. আর. কে. ধর ৬. সৈয়দ মামুনুর রশীদ ৭. আফতাব চৌধুরী ৮. মোঃ সিরাজুল ইসলাম ৯. মোহাম্মদ সজিব আলী ১০. মঈন উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ১১. নূরুস সামছ জুয়েল ১২. সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল ১৩. সৈয়দ মোজাম্মিল উদ্দিন ১৪. শেখ ফারুক আহমদ ১৫. সুহেল আহমদ চৌধুরী ১৬. ডা. এম এ জলিল চৌধুরী ১৭. তাবেদার রসুল বকুল ১৮. ডা. এম এ সালাম ১৯. মাহমুদুর রশীদ ২০. হাবিবা চৌধুরী পিয়া ২১. মোঃ ফারহান হোসেন। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের পৃষ্ঠপোষক ও দাতা সদস্যদের বোর্ড)

মোবাইল পাঠাগারের সম্মানিত দাতা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ১. এম এ সামাদ, আরামবাগ ২. আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড, দরগাহ গেইট শাখা ৩. আলহাজ্ব মুহিবুর রহমান ৪. জেলা প্রশাসন, সিলেট ৫. আব্দুল মতিন এলাইছ ৬. আব্দুল মান্নান পীর (মরহুম) পক্ষে অধ্যক্ষ মেজর আতাউর রহমান পীর ৭. ডা. মোঃ আব্দুল বাকী (মরহুম) পক্ষে এম এ মালিক হুমায়ুন ৮. আলহাজ্ব আব্দুল রউফ ৯. মখলিছুর রহমান। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের পৃষ্ঠপোষক ও দাতা সদস্যদের বোর্ড)

মোবাইল পাঠাগারের জীবন সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন-১. সৈয়দ আহমদ হোসেন ২. কামাল আহমদ ৩. মোহাম্মদ সিরন খান ৪. হারুনুজ্জামান চৌধুরী ৫. মোঃ মৌলুল হেসেন ৬. মোঃ আবুল হোসেন চৌধুরী ৭. ইজদানী মাহমুদ খান ৮. ডা. এম এ সালাম ৯. আব্দুল্লাহ আসসাকির আহমদ সিকদার ১০. ফয়জুল আলম বেলাল ১১. সৈয়দ রুহুল আলম হসসান ১২. মোঃ আনোয়ার রশিদ ১৩. মোঃ শাহিদুল আমিন ১৪. গোলাম মঈনুস সাদত জুয়েল ১৫. জ্ঞানেন্দ্রধর রুমু ১৬. ড. কবির চৌধুরী ১৭. মুহাম্মদ দীনুল ইসলাম চৌধুরী ১৮. মুফতি মোঃ মঈনুদ্দিন ১৯. মোঃ আব্দুশ শহিদ ২০. সৈয়দ মতাহির আলী ২১. কবির আহমদ ২২. মুফতি তাহের আহমদ ২৩. মোঃ নজরুল হুসেন ২৪. মোঃ মাজহারুল হক ২৫. মোঃ আশিকুর রাজ্জাক চৌধুরী ২৬. সৈয়দ আবু সাদেক ২৭. মোঃ মোস্তফা কামাল ২৮. মোঃ খলিলুর রহমান ফয়সল ২৯. মোঃ আব্দুল বাতিন ৩০. মঈন উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু ৩১. সাকিরুল আহসান সানী ৩২. এম এ মান্নান ৩৩. সালাম ফারুক ৩৪. সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু ৩৫. মোঃ সিরাজুল ইসলাম ৩৬. মুহাম্মদ আব্দুল জলিল চৌধুরী ৩৭. মাহবুব হোসেন ৩৮. মোঃ মোশাররফ হোসেন জাহাঙ্গীর ৩৯. মোঃ সাহারাজ ৪০. মোঃ আব্দুল হাসনাত নূরুল ৪১. আব্দুল কাইয়ুম ৪২. রহমান মুজিব ৪৩. মেঃ মোশতাকুর রহমান ৪৪. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার ৪৫. মোহাম্মদ আশিক আলী ৪৬. মোহাম্মদ আহছানুজ্জামান আরিফ ৪৭. আব্দুল মতিন খান ৪৮. জিবলু রহমান ৪৯. নাজমুল আনসারী ৫০. গোলাম রব্বানী আহমদ সোহেল ৫১. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী ৫২. সুফী সুহেল আহমদ ৫৩. মাশহুদ আহমদ মহসিন ৫৪. কুদরতে এলাহী ৫৫. শফিকুর রহমান শাহজাহান ৫৬. জি. আর সোহেল ৫৭. হাফিজ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ৫৮. নাজমা চৌধুরী ৫৯. মছরুর আহমদ ৬০. মহিউদ্দিন হায়দার ৬১. নুরুন নাহার বেবী ৬২. দেওয়ান হাসিব রাজা চৌধুরী ৬৩. মোস্তফা সেলিম ৬৪. তাহেরা খানম রুনু ৬৫. আহমদ শামসুদ্দিন কুটি ৬৬. মোহাম্মদ আব্দুল বাক্বী খালেদ ৬৭. মোস্তফা নুরুজ্জামান ৬৮. প্রফেসর মোঃ আজিজুর রহমান লস্কর ৬৯. সোহেল আহমদ ৭০. হাবিবুর রহমান হাবিব ৭১. রশীদ আহমদ ৭২. মেকদাদ হোসেন চৌধুরী ৭৩. মীর্জা সোহেল আহমদ ৭৪. আলিম উদ্দিন ৭৫. রশিদ মামুন ৭৬. মোঃ তোরাব আলী ৭৭. শহীদ আহমদ খান ৭৮. মুফতি ছুহেল উদ্দিন আহমদ ৭৯. মির শাহ আলম ৮০. ড. জসীম উদ্দিন আহমদ ৮১. মোঃ বদরুল হাসান ৮২. দেওয়ান সালামত রাজা চৌধুরী ৮৩. বশিরুল হক ৮৪. শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল ৮৫. রওশন জাহান চৌধুরী জেসমিন ৮৬. মাহবুবা সামসুদ ৮৭. মোঃ তারেক চৌধুরী ৮৮. শাহ মুহাম্মদ ইয়াছিন বাহাদুর ৮৯. সুলতানা রাজিয়া চৌধুরী ৯০. পীরজাদা শাহ মুহাম্মদ শাহবাজ চিশতি ৯১. রিংকু রনজন দাশ তালুকদার ৯২. মোঃ নুরউদ্দিন ৯৩. কালাম আজাদ ৯৪. মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার ৯৫. মোহাম্মদ আব্দুল বায়েছ ৯৬. আলী নেওয়াজ আজিজ ৯৭. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আনসারী ৯৮. মোঃ খয়রুজ্জামান বড় লস্কর ৯৯. মুহাম্মদ শাহের রাহমান ১০০. এনামুল হক রেনু ১০১. মোখলেসুর রহমান ১০২. মোহাম্মদ খসরুর রশীদ ১০৩. আহমদ হোসেন হেলাল ১০৪. জোবায়দা বেগম আঁখি ১০৫. আলহাজ্ব এ এইচ এম মঈন উদ্দিন ১০৬. কামাল আহমদ চৌধুরী ১০৭. ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার ১০৮. মোঃ বশির উদ্দিন ১০৯. ছয়ফুল আলম ১১০. ইছমত হানিফা চৌধুরী ১১১. এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ১১২. দেওয়ান চৌধুরী মাহদি ১১৩. মোঃ লোকমান হেকিম ১১৪. মোঃ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত ১১৫. মাহবুবুল হক চৌধুরী ১১৬. মোঃ ইয়াকুব আলী ১১৭. মোঃ শমশের আলী ১১৮. সৈয়দ কাওছার আহমদ ১১৯. মোঃ রুহুল আজম (মাসুদ) ১২০. আবদুল কাদির জীবন ১২১. সৈয়দ রেজাউল হক ১২২. আর. কে এম মোশতাক চৌধুরী ১২৩. আহমদ মাহবুব ফেরদৌস ১২৪. গাজী আব্দুল কুদ্দুস শমশাদ ১২৫. মোঃ আমিনুল ইসলাম ১২৬. হারুন আল রশিদ দীপু ১২৭. শহীদ আহমদ চৌধুরী ১২৮. আলেয়া রহমান ১২৯. ইশরাক জাহান জেলী ১৩০. তাহমিন আহমদ ১৩১. মোঃ কবিরুল ইসলাম ১৩২. মোঃ মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম ১৩৩. কয়েস আহমদ ১৩৪. মোঃ মাজহারুল ইসলাম ১৩৫. সেলিম আউয়াল ১৩৬. সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের ১৩৭. আতাউর রহমান বঙ্গী ১৩৮. রাহনামা শাব্বীর চৌধুরী ১৩৯. মোঃ ফয়সল আহমদ ১৪০. আবু সালেহ আহমদ ১৪১. সালেহ আহমদ খসরু ১৪২. নুর মোহাম্মদ চৌধুরী ১৪৩. দেওয়ান তাসীন রাজা চৌধুরী শাফি ১৪৪. দেওয়ান ছনুবর রাজা চৌধুরী ১৪৫. মাসুদ সাঈদ ১৪৬. মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান ১৪৭. মোঃ ইকবাল হাসান ১৪৮. মোঃ জাবেদ আহমদ ১৪৯. সরওয়ার ফারুকী ১৫০. হেলাল হামাম ১৫১. অরুপ নাগ ১৫২. মোঃ ছাদির হোসাইন ১৫৩. সৈয়দ আছলাম হেসেন ১৫৪. হুমায়ূন কবির নবিন ১৫৫. শামসীর হারুনুর রশীদ, ১৫৬. আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, ১৫৭. দেওয়ান খাইরুল মজিদ সালেহ ১৫৮. কামরুল আলম ১৫৯. জামিল আহমদ চৌধুরী (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের রেজিস্ট্রার খাতা)।

সিলেট নগরীর আম্বরখানা ২৯ দিগন্ত আবাসিক এলাকায় ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ ২০১৩ সালে ৮ অক্টোবর এম আতাউর রহমান পীর স্বাক্ষরিত একটি কার্যকরী কমিটির তালিকায় আহবায়ক কমিটির নাম পাওয়া যায়, যেখানে সভাপতি এম আতাউর রহমান পীর, সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সদস্য কামাল আহমদ, হারুন আকবর, আবিদ ফয়সাল। (তথ্যসূত্র: মোবাইল পাঠাগারের রেজিস্ট্রার খাতার)

বই পড়াকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সিলেটের দুই দশকের প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন সিলেট মোবাইল পাঠাগারের সাধারণ সভায় ২০২২-২০২৪ সালের নতুন কার্যকরী কমিটি ৩১ অক্টোবর রাত ৮টায় নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের মোবাইল পাঠাগারের নিজস্ব কার্যালয়ে গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সহ সভাপতি বশির উদ্দিন আহমদ, মহীউদ্দিন চৌধুরী মিনার, সালেহ আহমদ খসরু, সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু ও আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের এ্যাডভোকেট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন, যুগ্ম সম্পাদক হেলাল হামাম, সহ সাধারণ সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, সাহিত্য সম্পাদক বেলাল আহমদ চৌধুরী, পাঠাগার সম্পাদক অরুপ নাগ, সদস্য কর্নেল অব. এম আতাউর রহমান পীর, জগলু চৌধুরী, সেলিম আউয়াল। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ সেশনের কমিটি গঠন করার পূর্বে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন- আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিনার ও সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের। (তথ্যসূত্র: সিলেট মিরর ০৫ নভেম্বর ২০২১)।

২০২৪-২৭ সেশনের জন্য মোবাইল পাঠাগার নতুন কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন- সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী মিনার, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, জামিল আহমদ চৌধুরী, সালেহ আহমদ খসরু, ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, মোশতাক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, সহসাধারণ সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী, অর্থ সম্পাদক দেওয়ান খাইরুল মজিদ সালেহ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল কাদির জীবন, পাঠাগার সম্পাদক নুর মোহাম্মদ চৌধুরী মুবিন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ: ১. এম আতাউর রহমান পীর ২. দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী ৩. আহমদ মাহবুব ফেরদৌস ৪. জগলু চৌধুরী ৫. কামরুল আলম ৬. আলেয়া রহমান। ২০২৪-২৭ সেশনের জন্য মোবাইল পাঠাগার নতুন কার্যকরী কমিটির উপদেষ্টাবৃন্দ: ১. আজিজ চৌধুরী ২. এম এ করীম গণী ৩. মঈন উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু। এই কমিটি ১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগার)

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের দুই যুগ পূর্তী ও পাঠাগারের ৮০০তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর উপলক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয় ‘সিমোপা সাহিত্য পুরষ্কার-২০২৩’ প্রদান করার। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (১ অক্টোবর ২০২৩) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ মোবাইল পাঠাগারের কার্যালয়ে পাঠাগারের ৮০০তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে এ পুরষ্কারের ঘোষণা দেন পাঠাগারের চেয়ারম্যান দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য ২০ জন লেখককে এ সম্মাননা পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। লেখকদের মধ্যে ৫ জন তরুণ, ৮ জন যুবক ও ৭ জন প্রবীণকে নির্বাচন করেছেন ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ বাস্তবায়ন কমিটি। সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের চেয়ারম্যান দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক, প্রভাষক আবদুল কাদির জীবন উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাঠাগারের সচিব ছড়াকার আবদুস সাদেক লিপন, সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩-এর উপকমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, সদস্য সচিব ইশরাক জাহান জেলী প্রমুখ।

সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ এ ছড়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন- দেলোয়ার হোসেন দিলু, কবির আশরাফ, আতাউর রহমান বঙ্গী ও আবদুল কাদির জীবন। কবিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- সিরাজুল হক, কামাল আহমদ, গাজী আবদুল কুদ্দুস শমশাদ, আজমল আহমদ ও নাঈমুল ইসলাম গুলজার। গল্পে নির্বাচিত হয়েছেন মিনহাজ ফয়সল ও জেনারুল ইসলাম। প্রবন্ধে ছয়ফুল আলম পারুল, সোনিয়া কাদির, শামসীর হারুনুর রশিদ, জুঁই ইসলাম ও সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান এবং গানে মো. আবদুল মতিন, মাজহারুল ইসলাম মেনন, বাহাউদ্দিন বাহার ও তাসনিম যায়েদ। উল্লেখ্য, প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগীর লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, গান ও ছড়া যাচাই-বাছাই করে সেরা ২০ জন লেখককে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে তরুণ ১৫-৩০, যুবক ৩১-৫০, এবং প্রবীণ ৫১-১০০ বছর। (তথ্যসূত্র: জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ, অক্টোবর ২, ২০২৩)।
সিলেট মোবাইল পাঠাগার কর্তৃক ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ আহ্বান কৃত লেখার বিচারকমন্ডলীর মধ্যে- ছড়ার বিচারক ছিলেন- ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক জয়নাল আবেদীন জুয়েল ও ছড়াকার অজিত রায় ভজন। কবিতার বিচারক ছিলেন- কবি এখলাসুর রহমান ও কবি মামুন সুলতান। গানের বিচারক ছিলেন গীতিকার ও উপস্থাপক প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, গীতিকার জাকির শাহ। প্রবন্ধের বিচারক ছিলেন- গীতিকার আনোয়ার হোসেন মিসবাহ, দেবব্রত রায় দিপন, কবি হেলাল হামাম ও সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের। গল্পের বিচারক ছিলেন- গল্পকার শাহেদ হুসাইন ও গল্পকার সেলিম আউয়াল।

সিলেট মোবাইল পাঠাগার প্রথম দিকের যাত্রা শুরু হয় সিলেট আধ্যাত্মিক নগরীর হজরত শাহজালাল (র.) মাজার সংলগ্ন দরগাহ মহল্লার ৫৩ পায়রায়। তারপর দরগাহ মহল্লার ৬৯ মুফতিবাড়ি ঠিকানায় সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হতো। পরে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ ২৯ দিগন্ত মেট্রোপলিটন ল কলেজ ও মেট্রোপলিটন কিন্ডারগার্টেন-এ স্থানান্তর করা হয়। এ সময় সিলেট মোবাইল পাঠাগারের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. আতাউর রহমান পীরের আহবানে পাঠাগারের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পরিচালনা-পরিকল্পনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাংবাদিক-সংগঠক সেলিম আউয়াল। তাঁর পরিকল্পনা-পরিচালনায় ৫৬৭-৭৬৮তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ব্যতিক্রমী বিষয় নিয়ে সাহিত্য আসরের আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শোকদিবস পালন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, পাঠচক্র, মায়ানমারের গণহত্যা বিরোধী কবিতা পাঠ, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-ফররুখ জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন, ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদ, সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী-নায়ক রাজ রাজ্জাক-আকাদ্দাস সিরাজ-মনির উদ্দিন চৌধুরী স্মরণসভা, বাশিরুল আমিনের গ্রন্থ প্রকাশনা ইত্যাদি। এখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করার পর ২০২১ সালের ১ অক্টোবর সিলেট নগরীর আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ রায় হোসেন জামেমসজিদ (৩য়তলা)-এ আবার স্থানান্তর করা হয়। এই স্থানে এখন পর্যন্ত চলমান আছে। প্রতিষ্ঠা ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সিলেট মোবাইল পাঠাগারের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত শনিবারে সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর চলমান আছে।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারে নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরের ষাটটি আসর শেষে একটি লিটল ম্যাগ বা ছোটকাগজ বের করার প্রস্তাব দেন লেখক কুদরতে এলাহী। তাঁর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে কবি আশরাফ হাসানের দেয়া নাম ছায়ালাপ গৃহীত হয়। প্রথম ছায়ালাপ প্রকাশিত হয় ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল। তারপর থেকে প্রতি সাপ্তাহে সাহিত্য আসর শেষে প্রকাশ করা হয় চারপৃষ্ঠার ফোল্ডারধর্মী ছোট কাগজ ছায়ালাপ। ছায়ালাপ ৫০ অথবা ১
শটি নিয়ে প্রকাশ করা হতো ছায়ালাপসমগ্র। প্রথম ছায়ালাপসমগ্র-১ প্রকাশ হয় ২০০৩ সালের মে মাসে এবং ৯ জুলাই ২০০৩-এ প্রথম সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন। ছায়ালাপসমগ্র-৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ প্রকাশের পর থেকে মোবাইল পাঠাগারের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর হয়েছে কিন্তু ছায়ালাপ বের হয়নি। বিভিন্ন সময় যারা ছায়ালাপ সম্পাদনা করেছেন তাদের নাম উল্লেখযোগ্য। ছায়ালাপ সমগ্র-১ এর প্রথম সম্পাদনা পরিষদের তালিকায় আছেন- প্রধান সম্পাদক এম আতাউর রহমান পীর, সম্পাদনা পর্ষদ- দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, অধ্যাপক মন্জুর হোসেন, আশরাফ হাসান, সম্পাদক আবিদ ফায়সাল, সম্পাদনা সহযোগী কুদরতে এলাহী। ছায়ালাপসমগ্র-২ এর সম্পাদনা পরিষদের তালিকায় আছেন- প্রধান সম্পাদক এম আতাউর রহমান পীর, সম্পাদনা পর্ষদ- দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, আশরাফ হাসান, আব্দুস সাদেক লিপন, সম্পাদক আবিদ ফায়সাল, সম্পাদনা সহযোগী কুদরতে এলাহী। ছায়ালাপসমগ্র-৩ এর সম্পাদনা পরিষদের তালিকায় আছেন- প্রধান সম্পাদক এম আতাউর রহমান পীর, সম্পাদক আবিদ ফায়সাল, সম্পাদনা সহযোগী সৈয়দ জয়নুল শামছ, চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল। ছায়ালাপ-৪ এর সম্পাদনা পরিষদে আছেন- সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন, সম্পাদক আবদুল কাদির জীবন। ছায়ালাপ-৫ এর সম্পাদনা পরিষদে আছেন- সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন, সম্পাদক আবদুল কাদির জীবন। দীর্ঘদিন ছায়ালাপ ছোটকাগজে প্রকাশ না হওয়ায় পরবর্তীতে ছায়ালাপসমগ্র না বলে ছায়ালাপ নামে প্রকাশ হয় (তথসূত্র: ছায়ালাপসমগ্র-১, ২, ৩, পরবর্তীতে ছায়ালাপ নামে প্রকাশিত হয়)

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের দুইযুগ ও পাঠাগারের ৮০০তম সাহিত্য আসর পূর্তী উপলক্ষে সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করার জন্য একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন- আহবায়ক ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, সদস্য সচিব ইশরাক জাহান জেলী, সদস্য আবদুল কাদির জীবন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, আবদুস সাদেক লিপন, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। সিলেট মোবাইল পাঠাগারের দুইযুগ পূর্তি ও পাঠাগারের ৮০০তম সাহিত্য আসর পূর্তী উপলক্ষে ‘সিমোপা সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ স্মারক সম্পাদনা পরিষদ। সম্পাদনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ হলেন- সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক আব্দুস সাদেক লিপন, সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলী, সম্পাদনা সহযোগী আবদুল কাদির জীবন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের।

৯ মে ২০০১ সালে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের কার্যকরী সভায় ত্রৈমাসিক মুখপত্র কৈতর প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে পাঠাগারের ত্রৈমাসিক মুখপত্র কৈতর জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে প্রথম সংখ্যা প্রথম প্রকাশ হয়। এরপর আরো কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম সংখ্যার সম্পাদনা পরিষদে যাঁরা ছিলেন- প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ক্যাপ্টেন এম আতাউর রহমান পীর, সম্পাদক মনির উদ্দিন চৌধুরী, সহযোগী সম্পাদক আশরাফ হাসান ও দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক আবিদ ফায়সাল। প্রথম সংখ্যায় সন্নিবেশিত করা হয়েছিল প্রবন্ধ, ছড়া-কবিতা, ২৮ জন জীবন সদস্যদের তালিকা, ৫৩টি পৃষ্ঠায় ৩০৩০ জন লেখক ও বইয়ের নামের তালিকা, ১৯ জন উদ্যোক্তা পরিচিতি, ৩ জন দাতা সদস্য, ৪ জন পৃষ্ঠপোষক সদস্য তালিকা। (তথ্যসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগারের মুখপত্র ত্রৈমাসিক কৈতর ১ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা, জুলাই- সেপ্টেম্বর ২০০১)। সিলেট মোবাইল পাঠাগারের মুখপত্র ত্রৈমাসিক কৈতর ২য় সংখ্যা, আগস্ট ২০২৪ এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ: সম্পাদক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সম্পাদনা সহযোগী আব্দুস সাদেক লিপন, বেলাল আহমদ চৌধুরী, হেলাল হামাম, ইশরাক জাহান জেলী, আবদুল কাদির জীবন।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ১ম কমিটির চেয়ারম্যান এম আতাউর রহমান পীর, সচিব মনির উদ্দিন চৌধুরী; ২য় কমিটির চেয়ারম্যান এম আতাউর রহমান পীর, সচিব দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী; ৩য় কমিটির চেয়ারম্যান এম আতাউর রহমান পীর, সচিব মিসবাহ উদ্দিন; ৪র্থ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, সচিব সৈয়দ জয়নুল শামস; ৫ম কমিটির চেয়ারম্যান এম আতাউর রহমান পীর, সচিব মহি উদ্দিন চৌধুরী ; ৬ষ্ঠ কমিটির চেয়ারম্যান দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সচিব আব্দুস সাদেক লিপন; ৭ম কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী মিনার, সচিব এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের। (তথ্যসূত্র: দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, চেয়ারম্যান, সিলেট মোবাইল পাঠাগার)

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের প্রধান লাইব্রেরিয়ান ছিলেন মনির উদ্দিন চৌধুরী। তিনি পাশাপাশি প্রতিষ্ঠাতা সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন। সহকারী গ্রন্থাগারিক ছিলেন আবিদ ফায়সাল ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান ছিলেন মোঃ নাসির উদ্দীন। পরবর্তীতে জানুয়ারি ২০২১- আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত আবদুল কাদির জীবনকে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় পাঠাগারের অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন কামাল আহমদ, ফতহুল করিম হাসান, সোহেল আহমদ, তুহিনুর রহমান তুহিন ও মিটু মিয়া। (তথসূত্র: সিলেট মোবাইল পাঠাগার রেজুলেশন খাতা)

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ৭৭৭ তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর উদযাপন উপলক্ষে গঠন করা হয় ‘৭৭৭তম সাহিত্য আসর বাস্তবায়ন কমিটি-২০২৩’। উপকমিটির সদস্যরা হলেন-আহবায়ক ইশরাক জাহান জেলী, সদস্য সচিব আবদুল কাদির জীবন, সদস্য এম আতাউর রহমান পীর, সালেহ আহমদ খসরু, কামাল আহমদ, সৈয়দ মবনু, আব্দুস সাদেক লিপন, দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী।

শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ সিলেট নগরীর হযরত শাহ সুন্দর (রহ.) মাজার রোড, পীরের বাজার, টিকর পাড়া বাগান বাড়ি সিলেটে এ অনুষ্ঠিত হয় ‘সৃষ্টির উল্লাসে মাতুক প্রাণের প্রপাতে প্রাণ’ স্লোগানে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিলেটের দুই দশকের প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন সিলেট মোবাইল পাঠাগারের ‘আনন্দ ভ্রমণ’ ও ৭৭৭ তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর। অনুষ্ঠানে কবিতা-ছড়া, গল্প-প্রবন্ধ ও গান তিনটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কবিতায় ১ম স্থান অনিন্দ্য মোস্তাক, ২য় স্থান আলেয়া রহমান ও ৩য় স্থান অর্জন করেন কামাল আহমদ। প্রবন্ধে শামসীর হারুনুর রশীদ। গান প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান আব্দুর রহমান পারভেজ, ২য় স্থান মনোয়ার হোসেন আব্দাল ও ৩য় স্থান অর্জন করেন সাজিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে কবি শিপারা শিপার রচিত ‘ভোরের আকাশ’ ও কবি কাউসার জাহান লিপি রচিত ‘আয়নার রাতনি’ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারে নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে অনেক লেখক কবি ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত হন। এই মুহূর্তে যাদের নাম মনে পড়ছে সেই সকল লেখক কবি-সাহিত্যিকদের নাম উল্লেখ করছি- এম আতাউর রহমান পীর, দেওয়ান এ. এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কুদরতে এলাহী, হারুনুজ্জামান চৌধুরী, কবি কালাম আজাদ, ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, আবিদ ফায়সাল, আশরাফ হাসান, কামরুল আলম, জসীম আল ফাহিম, সুমন কুমার দাশ, শাহাদাত আলিম, সালেহ আহমদ খসরু, ইশরাক জাহান জেলী, আবদুল কাদির জীবন, সালেহ মাহমুদ, আব্দুস সাদেক লিপন, সেলিম আউয়াল, আবদুল কাদের তাপাদার, আব্দুল মুকিত অপি, নাজমুল আনসারী, মোঃ তোবারক আলী, আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, মোশতাক চৌধুরী, মোয়াজ আফসার, সুফিয়া জমির ডেইজি, আলেয়া রহমান, ছয়ফুল আলম পারুল, শামসীর হারুনুর রশীদ, শিপারা শিপা, কাউসার জাহান লিপি, ফাহমিদা চৌধুরী, ফায়সাল আইয়ুব, নজমুল হক চৌধুরী, জুবের আহমদ সার্জন, সাজিদুর রহমান, অনিন্দ্য মোস্তাক, মুস্তাফিজ সৈয়দ, সৈয়দ রেজাউল হক, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, আফিয়া সুলতানা, পৃথ্বিশ চক্রবর্তী, সৈয়দা দিবা, আব্দুর রহমান পারভেজ, লাহিন নাহিয়ান, আহমেদ সোহান, কামাল আহমদ, তাসলিমা খানম বীথি, মিনহাজ ফয়সল, নাঈমুল ইসলাম গুলজার, জেনারুল ইসলাম, কয়েস মিয়া, আব্দুর রহমান খোকন, শাহ সোহেল আহমদ, আব্দুল হাদি তুহিন, নূর আহমদ, জুনেদ আহমদ প্রমুখ।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন উপস্থাপনা বা সঞ্চালনা করেছেন। নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় জানা নেই। প্রথম দিকে মোবাইল পাঠাগার সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর সঞ্চালনা করেছেন কবি আবিদ ফায়সাল, তারপর কবি আশরাফ হাসান, তারপর তাসলিমা খানম বীথি। ২০২১ সালের শেষের দিকে ৭৬৯তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর থেকে সিলেট মোবাইল পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক, পাঠাগারের জীবন সদস্য ও সাপ্তাহিক সাহিত্যপত্র ছায়ালাপ সম্পাদক আবদুল কাদির জীবন ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপনা করে আসছেন।
ইউএস-এ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম, সিলেট কর্তৃক আয়োজিত ‘ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৪’ এ সিলেট মোবাইল পাঠাগারকে সেরা সংগঠন পুরস্কার সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন সিলেট মোবাইল পাঠাগারের নির্বাহী সম্পাদক ও পাঠাগারের জীবন সদস্য আবদুল কাদির জীবন।

সিলেট মোবাইল পাঠাগারে বিশিষ্টজনের পদচারণায় মুখরিত ছিলো যা পাঠাগারের পরিদর্শন বুক খুঁজলেই পাওয়া যায় তাদের নাম। সিলেট মোবাইল পাঠাগার ভিজিট করেছেন সি. এম কয়েস সামি (সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক), কাজী কামাল আহমদ, ড. কবির চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, আবদুস সোবহান সিকদার (সাবেক জেলা প্রশাসক, সিলেট), মোঃ মখলেছুর রহমান (সাবেক পুলিশ সুপার, সিলেট), শাহ আব্দুল করিম, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (সাবেক মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন), আজিজুল মালিক চৌধুরী এডভোকেট (সাবেক সভাপতি, জেলা বার সমিতি সিলেট), আবুল মাল আবদুল মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী), Philip Buplell, এস এম ইলিয়াস, প্রফেসর ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, আ. ফ. ম কামাল, মোহাম্মদ ফারুক আহমদ (সাবেক সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট), M. Nuruzzaman Chowdhury (Former Vice Chancellor, Leading University, Sylhet), মোঃ মাসউদ খান (সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেট), CLLR OHD AHMED, Syed Md. Muhibur Rahman, Mahidur Rahman, ড. ওয়াকিল আহমদ (অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ পারভেজ সাজ্জাদ (সহকারী কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সাবেক এম.পি সিলেট-৫), Taisake Shine (Japan), ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী, দেওয়ান ফরিদ গাজী (সাবেক মন্ত্রী), মোস্তফা বিল্লাল খান, Aziz Chowdhury, Dr. Jashim Uddin Ahmed, Mohammad Abdul Karim Gani, Manir Ahmed প্রমুখ।

সিলেট মোবাইল পাঠাগার ২০০০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে চলমান। পাঠাগারের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ২৯টি প্লাস্টিকের চেয়ার, ২টি হাতাওয়ালা চেয়ার, ১টি পৃষ্ঠপোষক ও দাতা সদস্যদের বোর্ড, ১টি রোস্টাম (মঞ্চ), ৮টি টেবিল, ১টি টেস্ট ওয়ার্ডড্রব, ১টি স্টিলের আলমারি, ১টি কাঠের রেক, ৪টি স্টিলের রেক, ১টি ব্যানার বোর্ড, ১টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৩টি সিলিং ফ্যান, ১টি স্পিকার ও স্পিকার মেশিন, ৪টি সাইনবোর্ড, ১টি পানির ফিল্টার, ১টি জগ, ১২টি গ্লাস, ২৪টি প্লেট। পাঠাগারে রেজিস্ট্রার খাতার মধ্যে ৫৫৬৫টি বইর তালিকা পাওয়া যায়। এখানে বইয়ের সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। বিভিন্ন সময় পাঠাগার বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর হয়েছে। এজন্য হয়তো বই কমবেশি হতে পারে। আবার অনেকে বই পাঠাগারের জমা দিয়েছে কিন্তু এগুলো এক শেসন হয়নি।

পরিশেষে বলতে পারি, পাঠাগার আমাদের আলোর পথ খুঁজে দেয়। আমাদের মানুষ বানাতে সাহায্য করে। আমরা পথ হারিয়ে গেলে পাঠাগারের সুন্দর একটি বই আমাদের বলে দেয় সঠিক পথটি, তখন আমরা সোজা পথে হাঁটি। তাই সবার উচিৎ বইয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে সুন্দর একটি জীবন তৈরি করা। যে জীবন আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাত দো-জাহানে কল্যাণ বয়ে আনে। মানুষের দোরগোড়ায় জ্ঞানের বাহক বই পৌঁছে দেয়ার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সিলেট মোবাইল পাঠাগার যাত্রা শুরু হয়েছিলো তা যদি অব্যাহত রাখা যায় তাহলে পাঠাগার সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হবে। শান্তিময় বিশ্ব গঠনে পাঠাগার অনেকদূর এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা।

লেখক : আবদুল কাদির জীবন
প্রভাষক, সিলেট সেন্ট্রাল কলেজ
সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, সিলেট মোবাইল পাঠাগার