ফাইজা রাফা : লেখালেখি যে করেণ কেমন লাগে আপনার?
আবদুল কাদির জীবন : বর্তমান সময় লেখালেখি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। যদিও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করি তারপরও লেখালেখি করে যাচ্ছি। যেহেতু লেখাগুলো স্থানীয় ও জাতীয় ভাবে লেখাগুলো প্রকাশ হচ্ছে এ জন্য লেখালেখি খুব ভাল লাগে।তারচেয়ে বেশী ভাল লাগে যখন কেউ আমাকে বলে তেমার এই লেখাটা সুন্দর হয়েছে। তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি লেখা দেশ, সমাজ এবং মানুষের উপকারীর জন্য লেখতে চাই।
ফাইজা রাফা : কোন ধরনের লিখা আপনি মুলত লেখেন?
আবদুল কাদির জীবন : আমি মূলত শিশু সাহিত্য নিয়ে বেশি লেখালেখি করি। ছোটদের নিয়ে ছড়া কবিতার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ, গল্প লেখি।
ফাইজা রাফা : তো হঠাৎ শিশু সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ কেন? আরো তো বিভিন্ন বিষয় আছে। যেমন- বাংলা সাহিত্য ও ইংরেজি সাহিত্য ছিল, রাজনীতির উপরও বই লেখা যেতো।
আবদুল কাদির জীবন : শিশু সাহিত্য আর রাজনীতি সাহিত্য সব সাহিত্যের মূলেই শিশু সাহিত্য। কারণ আমরা যখন ছোট বেলায় লেখাপড়া করি তখন কিন্ত আমরা প্রায় ছোট ছিলাম। ছোট থেকেই কিন্তু আমরা বড় হয়েছি। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই শিশুরাই যখন তারা বই পড়ে কিংবা বই থেকে ছড়া কবিতা লিখে ঠিক তখন থেকে লেখালেখির উপলব্দিটা আসে। অনেক বড় বড় লেখকরা শিশু সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে আনন্দ পান । আমিও আনন্দ পাই।
ফাইজা রাফা : মূল কথা হলো শিশুদের নিয়ে আপনার কাজ করতে খুব ভালো লাগে।
আবদুল কাদির জীবন : ঠিক তাই।
ফাইজা রাফা : এখন পর্যন্ত আপনার কোন বই বা ম্যাগাজিন প্রকাশ হয়েছে কী ?
আবদুল কাদির জীবন : আমি শিশু সাহিত্য নিয়ে কাজ করি। তাই আমার প্রথম বই প্রকাশ হয়েছে ২০১৯ সালে। যেটি শিশু সাহিত্যের উপর। বইয়ের নামটি হলো ‘দুঃখ নাচে সুখের কাছে’। বইটি থেকে আমি অনেক সারা পেয়েছি। তখন উপস্থাপিকা বইটি দর্শককে হাতে নিয়ে দেখান ।
ফাইজা রাফা : বইটি কবে প্রকাশ হয়েছে এবং বইটি থেকে কেমন সারা পেয়েছেন?
আবদুল কাদির জীবন : আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম বই হিসেবে আমি অনেক সারা পেয়েছি। তখন আমার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, লেখক শ্রেণিসহ সর্বমহল থেকে আমাকে অনেক প্রেরণা, উৎসাহ ও উদ্দীপনা পেয়েছি । পাঠকদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি দেখি যখন আমার ছাত্র-ছাত্রী, চতুর্থ শ্রেণির তারা যখন বইটি পড়ে এবং আমাকে বলে যে স্যার আপনার বইটি ভালো করে পড়েছি এবং লেখাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। তখন আমার খুব ভালো লাগে। সে আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
ফাইজা রাফা : এই বই ছাড়া আপনার আর কোন বই বের হয়েছে কি?
আবদুল কাদির জীবন : আমি যখন লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই। তখন থেকে আমি দ্য আর্থ অব অটোগ্রাফ ইংরেজী ম্যাগাজিন প্রকাশ করি। অবশ্যই এটা আমি বাংলা ভাষা শুরু করেছিলাম ২০১৪ সালে একটি চার পাতা লিটন ম্যাগ পত্রিকা হিসেবে। ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর মনে হলো পত্রিকাটি বাংলা থেকে ইংরেজি করার। আমার উদ্দেশ্য হলো আমি দেশ, সমাজ এবং মানুষের ভাষা ইংরেজিতে প্রকাশ করবো। ঠিক তখন থেকেই ইংরেজি ম্যাগাজিন প্রকাশ করি।
ফাইজা রাফা : বাংলা সাহিত্য রেখে হঠাৎ ইংরেজী সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হলো কেন?
আবদুল কাদির জীবন : খুব সুন্দও একটা প্রশ্ন। আসলে আমরা সবাই জানি English is an international Language. প্রত্যেকটি দেশের মানুষ এই ভাষা সম্পকে কিছুনা কির্ছু জানে। আর আমি ইংরেজী ভাষা নিয়ে পড়েছি। ইংরেজী ভাষা নিয়ে আমি ২৪ ঘণ্টা কাজ (পড়াশোনা) করছি। সেখান থেকে আমার উৎসাহ এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমি যখন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, জন মিল্টন, জনডান পি.বি.শেলী তাদের কবিতা ও লেখা পড়ি তখন আমার খুব ভালো লাগে। সেখান থেকেই আমার প্রেরণা। তারপর আমি আমার স্যারের সাথে আলাপ করি যে, ‘আমি একটা বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করি। আমি চাচিছ এখন ইংরেজি সাহিত্যে প্রকাশ করতে। তখনকার ইংরেজি বিভাগের হেড ছিলেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্যার।তারপর স্যার আমাকে উৎসাহ দিলেন প্রকাশ করার। ঠিক তখন থেকে আমি ইংরেজি ম্যাগাজিন প্রকাশ করার কাজটি শুরু করি ।
ফাইজা রাফা : দর্শক আপনার দেখতে পেরেছেন লেখক ইতিমধ্যেই ৯টি বই প্রকাশ করেছেন । তো নিশ্চই আপনি এগুলোর মধ্যে গণ্যমান্য ব্যক্তির লেখা এনেছেন । এই লেখাগুলো আপনি কিভাবে সংগ্রহ করেণ?
আবদুল কাদির জীবন : আমি বুঝতে পেরেছি আপনার প্রশ্ন। প্রথম সংখ্যা বের করতে আমার অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তার পর দ্বীরে দ্বীরে আমার অনুকুলে চলে আসে। সেটা সবার সাথে ভালো সম্পর্কের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে। আমার ইংরেজি বিভাগ সহ সিলেটের প্রতিটি ইউনির্ভাসিটির স্যার মেডামের সাথে যোগাযোগ রাখি এবং তাদের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করি । যদিও একটা ম্যাগাজিনর বের করতে অনেক কষ্টের কাজ। তারপরও লেগে থাকলে অসম্ভব নয়। এই প্রথম প্রথম আমি স্যার মেডামদেরকে বলতাম যে, আপনারা যদি আমাকে লেখা দেন তাহলে আমি অনেক উৎসাহ ও সাহস পাবো। তখন তারা লেখা দিতেন । তারপরও এক পার্টি ছিল আমার শত্রু। তারা চাইতো না আমি এটা বের করি। অন্যদিকে কিছু ফ্রেন্ড সব সময় আমাকে সহযোগীতা করেছে। আমাকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। তারা সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে ম্যাগাজিন প্রকাশ করার জন্য।
ফাইজা রাফা : আপনি কোন পত্রিকায় লেখালেখি বা কাজ করেণ কী ?
আবদুল কাদির জীবন : আমি কোন একক পত্রিকায় লেখালেখি করেনি বা করছি না। পত্রিকায় লেখালখি বলতে বিভিন্ন সময় আমার লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশ হয়েছে অনেক লেখা। যেমন দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, সংগ্রাম পত্রিকায় আমার ছড়া প্রকাশিত হয়েছে।
ফাইজা রাফা : যখন আপনার লেখা প্রকাশিত হয়, তখন আপনার অনুভূতিটা কেমন লাগে?
আবদুল কাদির জীবন : এক কথায় বলতে অনেক ভাল লাগে। জাতীয় দৈনিক দেইলি সানে যখন আমার ইংরেজি আর্টিকেল প্রকাশ হয় তখন যে আনন্দ হয়েছিল ঠিক সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রায় সাতটি ইংরেজি ম্যাগাজিনে আমার লেখা প্রকাশ হয় ঠিক তখন খুব ভালো লাগে। তাছারা আমি বাংলায় ও সমানভাবে লিখছি। বই প্রকাশ হচ্ছে, বিভিন্ন পাঠকরা আমার লেখা বই সংগ্রহ করছে। তখন অবশ্যই ভালো লাগে এবং ভাল লাগার কথা।
ফাইজা রাফা : এই যে আপনি কাজগুলো করছেন, আবার বলছেন যে, আপনার শত্রু আছে। আপনার এই কাজগুলো করতে ভাল এবং মন্দ বিষয়গুলো যদি শেয়ার করতেন।
আবদুল কাদির জীবন : আজকের সাক্ষাৎকারের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর প্রশ্ন এটা। আমরা জানি প্রত্যেকটা মানুষ তার সফলতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখিন হয়। শুধু আমার জীবনে নয়। আমি যখন এই ম্যাগাজিন বের করি তখন অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি সহযোগিতার জন্য। কিন্তু বেশির ভাগ লোকের কাছে সহযোগিতা পাইনি। কম সংক্ষক লোকের সহযোগিতা পেয়েছি। আমার প্রিয়জনের কাছ থেকেও আমি সার্পোট পাইনি। আমার লোকেরা আমাকে নিয়ে মশকারি করেছে এবং করছে। যেমন তারা বলে, আমরা বাঙালি আর নিয়ে সে নিয়ে এসেছে ইংরেজি। আমরা জানি বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি জাতীয় দৈনিক ইংরেজি অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশিত হয়। এখানে আমি মাত্র একটি ছোট লিটল ম্যাগ প্রকাশ করছি। আমি একটি ঘটনা আপনাকে বলি। প্রথম সংখ্যা যখন বের করি, আমার ইংরেজি বিভাগের হেড স্যারের সাথে পরামর্শ করে আমি একটি প্রকাশনা অনুষ্টান করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। অনেক বড় একটি অনুষ্টান ছিল। এখানে আমার স্যার মেডাম থেকে শুরু করে ভার্সিটির অনেকে থাকার কথা ছিল। দুটি টিভি লাইভ দেওয়ার কথা ছিল। ভার্সিটির বাহির থেকে অনেক লোক সমাগমের কথা ছিল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, অনুষ্ঠানের দিন স্যার মেডাম সবাই এসেছেন। আমি আমার ক্লাসমিট সহ সবাই এসেছি। অনুষ্ঠান ৩ টার সময়, ২টার সময় ভিসি স্যার না করে দিলেন। তিনি থাকতে পারবেন না। এখন বুঝতে পারছেন অনেক কষ্ট করে এতো কিছু আয়োজন করলাম আর আর সফল হতে পারলাম না। মনের মাঝে অনেক দুঃখ রয়ে গেল।
ফাইজা রাফা : ক্যানসেল হওয়ার পেছনে কারণটা কী ছিল?
আবদুল কাদির জীবন : ক্যানসেল হওয়ার পেছনে মূল কারণটা আমি বলতে পারব না। তার পরও কিছুটা বললে আপনি বুঝতে পারবেন। আমি আগেই বলেছি, কিছু মানুষ বা ব্যক্তি আমার পক্ষে আর, আর কিছু ব্যক্তি আমার বিপক্ষে। ট্যাকনিক্যাল কিছু প্রবলেম ছিল। যার কারণে আমি প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি করতে পারিনি। সেদিন আমার মনে প্রচুর কষ্ট ছিল। কারণ ম্যাগাজিন যে সম্পাদনা করে এবং প্রকাশ করে সে জানে কতটুকু টেনশন নিয়ে কাজ করতে হয়।
যাই হোক চার বৎসর পরে গত ডিসেম্বর মাসে আমার ম্যাগাজিন ৯ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। আমি একদিন দেখলাম আমাদের ইউনিভার্সিটিতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ইউটউবে জনপ্রিয় ব্যক্তি রুবাইয়াত ফেরদৌস এসেছেন একটি অনুষ্টানে। সে সময় আমি আমার ম্যাগাজিনের টিমকে নিয়ে সেখানে হাজির হই। ভিসি স্যার যখন অতিথি স্যারকে নিয়ে বের হলেন তখন আমরাও রেডি ম্যাগাজিন নিয়ে মোড়ক উন্মোচন করার জন্য। সেদিন সত্যিই অনেক ভালো লেগেছিল। ভিসি স্যারের প্রশংসা করলে কম হবে। সত্যি সেদিন অতিথিকে দেখে সব দুঃখ বেদনা ভুলে গিয়েছিলাম। ভিসি স্যার বললেন, জীবন সবার হাতে ম্যাগাজিন দিয়ে দাও। তো আমি সবার হাথে হাথে ম্যাগাজিন দিয়েছিলাম ছিলাম এবং সবাই খুশি হলেন। এমনকি অতিথি স্যার আমার খুব প্রশংসা করলেন।
ফাইজা রাফা : এই যে আপনি অনেকের কাছে সাপোর্ট পেলেন আর অনেকের কাছে সাপোর্ট পেলেন না, তো সেটাকে আপনি কিভাবে রিকভার করেণ?
আবদুল কাদির জীবন : আমরা সবাই জানি কারো জন্য যদি এক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় মহান আল্লাহ তার জন্য আরো দশটি রাস্তা খুলে দেন। আমি সেটা believe করি । আপনি অবশ্যই জানেন হেরি পটার কে ছিলেন। একজন জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক জে.কে.রাওলিন। এই জে.কে.রাওলিন ১২ জনের কাছে গিয়েছিল সাপোর্ট এর জন্য। কিন্তু তের নাম্বার জন তাকে হতাশ করেনি। আমিও সেটা বিশ্বাস করি যে, যদি আমি একজনের কাছে সাহায্য না পাই, তাহলে আমি আরেক জনের কাছে সাহায্য পাইবো। যতক্ষন না আমার কাজ সফল হয়েছে বা আমি আমার সাপোর্টার ব্যক্তি পেয়েছি। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে যে, Failure is the pillar of success এই থিউরিটা সবচেযে বেশি কাজে লাগে আমার।
ফাইজা রাফা : আপনার এই ম্যাগাজিন The Earth of Autograph এটা এখন পর্যন্ত কোথায় কোথায় প্রকাশিত হয়েছে? বা আমরা এটা কোনো বইয়ের দোকানে খুজলে পাব কি? চাইলে আমাদের দর্শকদের বলতে পারেন কোথায় কোথায় পাওয়া যায়।
আবদুল কাদরি জীবন : The Earth of Autograph (দ্য আর্থ অব অটোগ্রাফ) ম্যাগাজিনটি জসীম বুক হাউজ, আম্বরখানা, মারুফ লাইব্রেরী, জিন্দাবাজার রাজা ম্যানশনে পাওয়া যাবে। তাছাড়া পড়ার জন্য কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) লাইব্রেরী, সহকারী গ্রন্থাগার লাইব্রেরী, রিকাবী বাজার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী ও অনেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল & কলেজের লাইব্রেরী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে।
ফাইজা রাফা : এই ম্যাগাজিনের মাঝে বিশেষায়িত কি? এটা পড়লে আমারা কি কি বিষয় জানতে পারবো ?
আবদুল কাদরি জীবন : দ্য আর্থ অব অটোগ্রাফ হলো সাহিত্য-সংস্কৃতি, ইতিহাস- ঐতিহৃ ও সমাজ বিষয়ক ইংরেজি ম্যাগাজিন। এখন তো বুঝতে পারলেন ম্যাগাজিনের মূল থীম বা বিষয়। তাছাড়া একান্ত Specific করে যদি বলি তা হলো- ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, বাইওগ্রাফি, ইন্টারভিউ, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিউজ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে আমরা প্রাধান্য দেই। যে কোন ব্যক্তি যদি আমাদের মেইলে লেখা পাঠায় তাহলে আমরা এগুলো প্রকাশ করি। আপনি দেখে থাকবেন প্রতিটি সংখ্যা আমরা একেক জনের সাক্ষাতকার নেই। প্রথম সংখ্যায় সাক্ষাতকার প্রকাশ করি বিখ্যাত লেখক মোহাম্মদ জাফর ইকবালের। পরের সংখ্যায় আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছিলামলিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি ডক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান চৌধুরীর, তারপরে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম কেমুসাস এর সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। যদি আমরা সুযোগ করতে পারি তাহলে আমরা আগামী সংখ্যার জন্য সাক্ষাৎকার নিবো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধূরী নাদল’র। যেহেতু আমাদের আগামী সংখ্যা (মুজিব বর্ষ) তাই উপযোক্ত ব্যক্তি হিসাবে select করেছি।
ফাইজা রাফা : সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে খুব সারা পান, তাই না?
আবদুল কাদরি জীবন : অবশ্যই খুব সারা পাই । সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে high classification ব্যক্তিদের মধ্য ম্যাগাজিনের সেতুবন্ধ তৈরী হয়।