কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন উইং) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান বলেছেন, কৃষি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য একটি বিরাট সম্ভাবনা। তাই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার সব সময় আন্তরিক। সরকার গৃহীত বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলাসহ নিত্য নতুন ফসল বিদেশে রপ্তানী করতে কৃষির উন্নয়ন অনস্বীকার্য। তিনি প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষির উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বুধবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট আয়োজিত ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিস্ট্যান্টস প্রকল্প (ফ্রিপ) এর আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অন্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর ফ্রিপ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ড. তৌফিকুর রহমান। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত দেব নাথের উপস্থাপনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সিলেট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মোছাঃ কুহিনুর বেগম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর হবিগঞ্জ এর উপ পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান, মৌলভীবাজার এর উপ পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ,আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার জালাল উদ্দিন প্রধান।
দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ১১৫ জন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তিন বছর মেয়াদী ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ের ফ্রিপ প্রকল্পটি আগামী ২৬ সালের মার্চে শেষ হবে। প্রকল্পটি হাওর জেলা ৭ টি সহ সিলেটের চার জেলায় চলমান রয়েছে। কৃষি বিভাগ,পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিআরডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। এ প্রকল্পে সোলার সিষ্টেমের মাধ্যমে সেচ সুবিধা, পতিত জমিতে উৎপাদন, আধুনিক চাষাবাদ, কৃষি যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।