নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে
—— নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এর ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমির উদ্যোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বেলা ১১ টায় একাডেমি ক্যাম্পাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুণীজন সম্মাননা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২নং চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমির সাবেক সভাপতি হোসেন মুরাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলীর উপস্থানায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম মহিলা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রথম মহিলা সফল কূটনীতিক নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী। প্রধান বক্তা বক্তব্য রাখেন আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আব্দুল মুহিত চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দি চিপ এক্সিকিউটিভ রিড কলেজ ইউকে’র শিক্ষক মোসাদ্দেক আহমদ, কুয়েত প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আসাব উদ্দিন, সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সমাজ সেবক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলার বিএনপি সাবেক তাঁতি বিষয়ক সম্পাদক অহিদ আহমদ তালুকদার।
আরো উপস্থিত ছিলেন জামশেদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বিয়ানীবাজার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুদ দাইয়ান, চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুল হাকিম, শেওলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হক, বাগবাড়ি এসইডিইপি মডেল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী, বেলাল আহমদ চৌধুরী, বাবর আহমদ চৌধুরী, সাহেদ আহমদ চৌধুরী, কয়ছর আহমেদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম প্রমুখ সহ অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষক-অভিভাবক, ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। জ্ঞানই হচ্ছে মানুষের শক্তি। তাই আমাদের শিশুদের সুশিক্ষা দান করতে হবে। শিশুরা পবিত্র ও নিষ্পাপ। শিশুরা মঙ্গলের কারণ, আনন্দের উপকরণ ও প্রেরণার উৎস। শিশু মানব জাতির অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই শিশুর সুশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে ওঠার জন্য এবং তাদের মনন ও মেধার বিকাশের জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা। এ দায়িত্ব পিতা, মাতা, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজের প্রতিটি দায়িত্বশীল সচেতন নাগরিকের।
তিনি বলেন, হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) বলেছেন “(প্রয়োজনীয়) ইলম বা জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর প্রতি ফরজ (অবশ্যপালনীয়) কর্তব্য।” (ইবনে মাজাহ শরিফ)। হাদিসে আরও রয়েছে: যে ব্যক্তির তিনজন, দুজন বা একজন কন্যাসন্তান আছে; তিনি যদি তাদের বা তাকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করেন এবং সুপাত্রে পাত্রস্থ করেন, তাঁর জন্য জান্নাতের দরজাগুলো সর্বদা খোলা থাকে। (তিরমিজি শরিফ)। মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন: ‘যার রয়েছে কন্যাসন্তান, সে যদি তাকে (শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে) অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য না দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ বিজ্ঞপ্তি